১৭৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ১১ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোরবোর্ডে বিনা উইকেটে ৭২ রান। প্রয়োজনের তুলনায় রান তোলার গতি কম হলেও হাতে ১০ উইকেট আর দলটা উইন্ডিজ বলেই তখনও ম্যাচের পাল্লা ক্যারিবিয়ানদের দিকে হেলে! যে দলের শেষ ব্যাটসম্যানও মারকাটারি ব্যাটিং করতে পারেন, তাঁদের এগিয়ে না রাখার কোনো কারণ ছিল না!
কিন্তু লডারহিলের সেন্ট্রাল ব্রোয়ার্ড রিজিওনাল পার্ক স্টেডিয়ামে পরের ওভারেই ম্যাচের চিত্রনাট্যে বড় পরিবর্তন আসে। ইনিংসের ১২তম ওভারে বোলিংয়ে এসে মাত্র ৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ নেওয়াজ। আর নেওয়াজের ওই ওভারটাই পাকিস্তানকে পথ খুঁজে দেয়। পাকিস্তানি স্পিনারের দেওয়া ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি উইন্ডিজ। সেখান থেকে খেই হারিয়ে ১১০ রান তুলতে ৭ উইকেট হারায় ক্যারিবিয়ানরা।
হঠাৎ বিপর্যয়ে পড়া উইন্ডিজের ম্যাচে ফেরার আশা তখন প্রায় শেষ! এমন পরিস্থিতিতে শামার জোসেফকে সঙ্গে নিয়ে অষ্টম উইকেটের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে মাত্র ২৩ বলে ৫৪ রান তুলেছেন জেসন হোল্ডার। এর মধ্যে দুজনে শেষ দুই ওভারেই নিয়েছেন ৩৮ রান। কিন্তু সেটা উইন্ডিজের হার ঠেকাতে যথেষ্ট ছিল না। শেষ পর্যন্ত ক্যারিবিয়ানদের স্কোর থেমেছে ১৬৪ রানে। আর তাতে ১৪ রানের জয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল পাকিস্তান।
অন্যদিকে টি-টোয়েন্টিতে উইন্ডিজের জয়খরা বেড়েই চলল। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার কাছে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়া উইন্ডিজ এ নিয়ে টানা ৬ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হারল। আর সব মিলিয়ে সর্বশেষ ১৯ টি-টোয়েন্টির ১৭টিতেই হারভাগ্য সঙ্গী হয়েছে শাই হোপ-জেসন হোল্ডারদের।
উইন্ডিজ সফরের আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজটা ভালো কাটেনি পাকিস্তানের। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে ২-১ ব্যবধানে। তবে প্রথম দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ হাতছাড়া করার পর শেষ ম্যাচে প্রবল দাপটে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন সালমান আলী আঘারা। সেটার ধারাবাহিকতা আজ টেনে নিয়ে গেলেন উইন্ডিজ সফরের প্রথম ম্যাচেও।
অবশ্য টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। দলকে ২৬ রানে রেখে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে শামার জোসেফের দারুণ এক ডেলিভারিতে এলবিডাব্লিউ হয়ে ফেরন যান ১২ বলে ১৪ রান করা শাহিবজাদা ফারহান।
তবে সেটি খুব একটা প্রভাব ফেলেনি পাকিস্তানের রান তোলায়। শাহিবজাদার বিদায়ের পর ফখর জামানকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৫১ বলে ৮১ রান তোলেন সায়েম আইয়ুব। দলের রান তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পর (১০৭ রানে) জেসন হোল্ডারের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে বিদায় নেন আইয়ুব। তার আগে তুলে নেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি (৩৮ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৫৭ রান)।
স্কোরবোর্ডে আর মাত্র ৩ রান যোগ হতেই ফখর জামানকেও (২৮) হারায় পাকিস্তান। শেষদিকে হাসান নেওয়াজের ১৮ বলে ২৪, ফাহিম আশরাফের ৯ বলে ১৫ ও হারিসের ১ বলে ছক্কার ক্যামিওতে ১৮০ ছুঁইছুঁই সংগ্রহ পায় পাকিস্তান।
অন্যদিকে রান তাড়ায় উইন্ডিজের দুই ওপেনার জনসন চার্লস (৩৬ বলে ৩৫ রান) ও জুয়েল আন্দ্রেউ (৩৩ বলে ৩৫ রান) দুজনেই ওয়ানডেসুলভ ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন। মাঝে ৩৮ রানের মধ্যে ৭ উইকেটের ওই ঝড়। এরপর শেষদিকে জেসন হোল্ডারের ১২ বলে ৪ ছক্কায় অপরাজিত ৩০ ও শামার জোসেফের ১২ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২১ রানের ইনিংস শুধু উইন্ডিজের হারের ব্যবধানই কমিয়েছে।
কিন্তু লডারহিলের সেন্ট্রাল ব্রোয়ার্ড রিজিওনাল পার্ক স্টেডিয়ামে পরের ওভারেই ম্যাচের চিত্রনাট্যে বড় পরিবর্তন আসে। ইনিংসের ১২তম ওভারে বোলিংয়ে এসে মাত্র ৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ নেওয়াজ। আর নেওয়াজের ওই ওভারটাই পাকিস্তানকে পথ খুঁজে দেয়। পাকিস্তানি স্পিনারের দেওয়া ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি উইন্ডিজ। সেখান থেকে খেই হারিয়ে ১১০ রান তুলতে ৭ উইকেট হারায় ক্যারিবিয়ানরা।
হঠাৎ বিপর্যয়ে পড়া উইন্ডিজের ম্যাচে ফেরার আশা তখন প্রায় শেষ! এমন পরিস্থিতিতে শামার জোসেফকে সঙ্গে নিয়ে অষ্টম উইকেটের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে মাত্র ২৩ বলে ৫৪ রান তুলেছেন জেসন হোল্ডার। এর মধ্যে দুজনে শেষ দুই ওভারেই নিয়েছেন ৩৮ রান। কিন্তু সেটা উইন্ডিজের হার ঠেকাতে যথেষ্ট ছিল না। শেষ পর্যন্ত ক্যারিবিয়ানদের স্কোর থেমেছে ১৬৪ রানে। আর তাতে ১৪ রানের জয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল পাকিস্তান।
অন্যদিকে টি-টোয়েন্টিতে উইন্ডিজের জয়খরা বেড়েই চলল। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার কাছে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়া উইন্ডিজ এ নিয়ে টানা ৬ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হারল। আর সব মিলিয়ে সর্বশেষ ১৯ টি-টোয়েন্টির ১৭টিতেই হারভাগ্য সঙ্গী হয়েছে শাই হোপ-জেসন হোল্ডারদের।
উইন্ডিজ সফরের আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজটা ভালো কাটেনি পাকিস্তানের। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে ২-১ ব্যবধানে। তবে প্রথম দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ হাতছাড়া করার পর শেষ ম্যাচে প্রবল দাপটে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন সালমান আলী আঘারা। সেটার ধারাবাহিকতা আজ টেনে নিয়ে গেলেন উইন্ডিজ সফরের প্রথম ম্যাচেও।
অবশ্য টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। দলকে ২৬ রানে রেখে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে শামার জোসেফের দারুণ এক ডেলিভারিতে এলবিডাব্লিউ হয়ে ফেরন যান ১২ বলে ১৪ রান করা শাহিবজাদা ফারহান।
তবে সেটি খুব একটা প্রভাব ফেলেনি পাকিস্তানের রান তোলায়। শাহিবজাদার বিদায়ের পর ফখর জামানকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৫১ বলে ৮১ রান তোলেন সায়েম আইয়ুব। দলের রান তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পর (১০৭ রানে) জেসন হোল্ডারের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে বিদায় নেন আইয়ুব। তার আগে তুলে নেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি (৩৮ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৫৭ রান)।
স্কোরবোর্ডে আর মাত্র ৩ রান যোগ হতেই ফখর জামানকেও (২৮) হারায় পাকিস্তান। শেষদিকে হাসান নেওয়াজের ১৮ বলে ২৪, ফাহিম আশরাফের ৯ বলে ১৫ ও হারিসের ১ বলে ছক্কার ক্যামিওতে ১৮০ ছুঁইছুঁই সংগ্রহ পায় পাকিস্তান।
অন্যদিকে রান তাড়ায় উইন্ডিজের দুই ওপেনার জনসন চার্লস (৩৬ বলে ৩৫ রান) ও জুয়েল আন্দ্রেউ (৩৩ বলে ৩৫ রান) দুজনেই ওয়ানডেসুলভ ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন। মাঝে ৩৮ রানের মধ্যে ৭ উইকেটের ওই ঝড়। এরপর শেষদিকে জেসন হোল্ডারের ১২ বলে ৪ ছক্কায় অপরাজিত ৩০ ও শামার জোসেফের ১২ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২১ রানের ইনিংস শুধু উইন্ডিজের হারের ব্যবধানই কমিয়েছে।